December 25, 2024, 7:01 am
গোলাম রাব্বানীঃ রাজধানীর মিরপুরে জোর করে ফ্ল্যাট দখল ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার বৃদ্ধ কামাল উদ্দিনের পরিবার। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বাসা নম্বর ৫ রোড নম্বর১৮ ব্লক – সি সেকশন ১০ মিরপুরের এই বাড়িটি সাত তলার ৬ তলায় দুইটি ফ্ল্যাট দক্ষিণ পশ্চিম ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৩৯.৫৫ বর্গফুট ও ষষ্ঠ তলার দক্ষিণ-পূর্ব ৬৯৯.০১ বর্গফুট যা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের হস্তান্তর অনুমতি ও সাব রেজিস্ট্রি বায়না দলিল পত্রাদি অনুসারে মো. কামরুল ইসলাম পিতা মো. কামাল উদ্দিন থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক অধ্যাপক আজিজুর রহমানের তিন সন্তান ভোগ দখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগকারী তথ্য অনুযায়ী জানা যায় শুধু ফ্ল্যাট দখল না এমনকি তার পরিবারের উপর প্রান নাশের হুমকি ও বেশ কয়েকবার অতর্কিত হামলা চালানো হয় । উক্ত ব্যাপারে মিরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয় ।
মিরপুর মডেল থানার দুইটি জিডি ২০১৯ সালে ২৭ জুলাই যাহা জিডি নাম্বার ২৩০৮ । উল্লেখ আছে ফ্ল্যাট দুইটি বুঝিয়ে না দেওয়ায় ও প্রাণনাশের হুমকি এবং 2022 সালে ১৬ মে মিরপুর মডেল থানায় আরেকটি জিডিতে উল্লেখ আছে জিডি নাম্বার ১০৭২ উক্ত ঘরের বৈদ্যুতিক লাইন খুলে আমেনা বেগমের রুমে আর্থিং করায় এবং বাসায় কামাল উদ্দিন আসার পথে চার পাচ জন সন্ত্রাসী মিলে তাকে মেরে ফ্ল্যাট ছাড়া হুমকি দিয়ে তার পকেট থেকে এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।
এছাড়াও মো. কামাল উদ্দিন কে উক্ত বিল্ডিং এর দ্বিতীয় তলায় আটক করে সিভিল পুলিশের পরিচয়ে কিছু লোকজন নিয়ে প্রফেসরের বড় ছেলে মাহমুদ আরিফ রহমান অনেকক্ষণ আটকে রেখে জোরপূর্বক জাতীয় গৃহায়ণ হস্তান্তর অনুমতি পত্র ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের বায়না দলিল সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
অভিযোগকারী মো. কামাল উদ্দিনের কাছে জানতে পারি আমার দুই সন্তানের এক সন্তান বাইরে দেশে থাকে ও ছোট ছেলে আমার সাথেই থাকতো হঠাৎ করে আমাদের বিল্ডিং এর ছাদে মাহমুদ আরিফের মামা মিজান ও চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাক আমার ছোট ছেলে শরীফ কে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে ।
আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমরা ও আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করি ।ছেলের জীবনের নিশ্চয়তা না পাওয়ায় ছেলেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেই । এই অবস্থায় আমি ও আমার স্ত্রী বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী রহমান আরিফ মাহমুদ , তারই ভাই রহমান রাজিব মাহমুদ ও বোন রিফাত আরা বেগম এবং উক্ত বিল্ডিং এ ভাড়া থাকা তাহাদের আত্মীয় মিজান ও আব্দুর রাজ্জাক বিভিন্ন সময় আমাদেরকে হুমকি ও মারধর করে এবং বলে এই বাড়ি ছেড়ে চলে যাও না হইলে তোমরা বুড়া-বুড়ি মারা যাবে।
উক্ত ঘটনার ব্যাপারে আমাদের তিন নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম মানিকের বরাবর দরখাস্ত করি । প্রায় চার / পাচ বছর যাবত তাকে বিভিন্ন সময় মৌখিকভাবেও বলি সে একের পর এক সময় এক এক জনকে ঘটনাটি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয় । এখন পর্যন্ত কাউন্সিলরের কাছ থেকে কোন বিচার পায়নি। এছাড়াও ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর ,জাতীয় গৃহায়ণ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করি ও অ্যাডভোকেট দ্বারা আমার সন্তান মো. কামরুল ইসলাম সাব রেজিস্ট্রি অফিসের বায়না দলিল কৃত ও জাতীয় গৃহন কর্তৃপক্ষের অনুমতিপ্রাপ্ত ফ্ল্যাট দুটির মালিক লিগেল নোটিশ পাঠায় মৃত অধ্যাপক মোঃ আজিজুর রহমানের অরিস দুইপুত্র ও এক কন্যা সন্তান বরাবর উক্ত লিগালনোটিশের কোন জবাব দেইনি বলে জানা যায়।
এছাড়াও জানা যায়, মো. কামাল উদ্দিন বিচারের দাবিতে কোর্টে মামলা করে উক্ত মামলায় রহমান আরিফ মাহমুদ কোর্টে ক্ষমা চেয়ে মুচলেকাত দিয়ে মামলার নিষ্পত্তি ঘটায়। তার কিছুদিন পরেই আবার মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের উপর আবারো হামলা চালায় সন্ত্রাসী আরিফ গংরা। মহম্মদ কামাল উদ্দিন এমত অবস্থায় বিচার না পাওয়ায় জীবন বাঁচানোর চেষ্টায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তব সংস্থায় একটি অভিযোগ করেন। মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থার মহাসচিব মোঃ নুরুল ইসলাম ঘটনা সত্যায়িত যাচাইয়ের জন্য সার্বিক পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম মিলন ও পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানীকে উক্ত ঘটনার সত্যতা যাচাই করে লিখিত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদেশ করে।
এই ঘটনার ব্যাপারে মানবাধিকারের পরিচালক মোঃ গোলাম রব্বানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমাদেরকে বলে আমরা সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম গঠন করে উক্ত ঘটনাটি সরজমিনে সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি মোঃ কামাল উদ্দিনের ও তার ছেলে মুহাম্মদ কামরুল ইসলামের অভিযোগের সত্যতা আছে মোহাম্মদ কামরুল ইসলামের ফ্ল্যাট ২ টি জোর করে আটকে রাখা মৃত অধ্যাপক আজিজুর রহমানের ছেলে রহমান আরিফ মাহমুদ এর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তাহার আসার কথা থাকা সত্ত্বেও তার দেখা মেলেনি এমনকি তার ছোট ভাই রাজিব ও তার বোন কারো সাথে কোন দেখা মেলেনি আমরা আরো যাচাই করে দেখব।
তাই উক্ত সন্ত্রাসী ঘটনার বিচারের দাবিতে ও বৃদ্ধ মোঃ কামাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রীর জীবনেরনিরাপত্তার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে সংবাদটি সংবাদ মাধ্যমের প্রচার করা হলো।